সজীবুল ইসলাম :আমার জ্যোৎস্না বিলাসের সংখ্যার কোনো ইয়ত্তা নেই। কখনো হিসাবও করিনি। কারণ প্রয়োজন মনে হয়নি। জ্যোৎস্নায় মায়া আছে শুনেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কখনো অনুভূত হয়নি। তবে তা খোঁজার চেষ্টা করেছি, কতই না চেষ্টা করেছি!
বৌদ্ধ পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা, ব্লু মুন, স্ট্রবেরি মুনে ঘর ছাড়া হওয়ার অভ্যেস ছিল আগে থেকেই। ছুঁটে বেড়িয়েছি হাওর, দিঘী, নদী, নৌকা, বালুচর, ধূসর মাঠে। কিন্তু কোথাও পাইনি। জ্যোৎস্না তাই আমার কাছে অছোয়া রূপসী চাঁদের ঝলসানো আলোকছটা ছিল কেবলমাত্র।
হঠাৎ একদিন, যেদিন সন্ধ্যায় তোমার ফোন এলো, বললে- জ্যোৎস্নায় ঘুরবে, আমার বেশ লেগেছিল। এটা তোমার ক্ষেত্রে বরাবরই। অভ্যেস মতো বের হয়ে তোমাকে নিয়ে ছুঁটলাম সেই চিরচেনা পথে। পিচ করা সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ বয়ে গেছে গ্রাম থেকে গ্রামে। দুই পাশে সবুজ মাঠ। নদী থেকে উঠে আসা বাতাসকে সুভাষিত করেছিল ধানের গন্ধ। আর তুমি ছিলে মোটরসাইকেলে আমার ঠিক পেছনে, কাঁধে ভর দিয়ে। অভ্যেসমতো তোমাকে দেখতে লুকিংগ্লাসে চোখ রাখি। তখনই পুলকিত হই। যেন চাঁদ হাসছে, আর তার সেই বিকিরিত ঝলসানো রশ্মি প্রতিবিম্ব হয়ে তোমার মুখমণ্ডল আলোকিত করছে। অজানায় হারিয়ে যাওয়া তোমার দৃষ্টিভ্রম চোখ, ঠোঁটের কোণে কল্পনার সুখী হাসিতে জেগে উঠেছিল চিরসজীব চেহারা। দেখেছিলাম জ্যোৎস্নার মায়া। খুঁজে পেয়েছিলাম সেই মায়া।
সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম